আপনাদের মধ্যে অনেকেই ২০২২ সালে ইউটিউবে এসেছে এবং একটি নতুন চ্যানেল ক্রিয়েট বা তৈরি করেছে। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়টি নতুন ইউটিউবার জানা জরুলি এবং তার পাশাপাশি যারা পুরোনো ক্রিয়েটর আছে তারা জানে না ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করার পরে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করতে হয়।
ইউটিউব(Youtube) চ্যানেল কেন ফেরিফাই করবেন
ইউপিউব চ্যানেল ফেরিফাই করলে অিনেক সুবিধা পাওয়া যায়। যেটি ফেরিফাই নাথাকলে আপনি পাবেন না। তাই আজকে ফেরিফাই করলে কি কি সুবিধা পাবেন সেগুলো আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ বুঝিয়ে দিবো।
ফেরিফাই করলে চ্যানেলে যেসব সুবিধা পাবো :
১. কাস্টম থাম্বেল
আপনি যদি আপনার চ্যানেল টি ফেরিফাই করে নেন তাহলে আপনি যে ভিডিও গুলো আপনার চ্যানেলে আপলোড করেন সেই ভিডিও গুলোতে একটি কাস্টম থাম্বেল ব্যবহার করতে পারবেন।
এখন কথা হল : থাম্বেল কী? থাম্বেল হল : আপনি যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখেন তখন ভিডিওতে ক্লিক করার আগে একটি ছবি দেখেন যেটিতে ভিডিও কিছু কথা লেখা থাকে। সেটি হলো থাম্বেল বা ভিডিওর পোস্টার। এর জন্য সবাই ভিডিও দেখার আগে আপনার থাম্বেলটি পড়ে নেয় তারপর ভিডিওতে ক্লিক করে। একটি ভিডিওর থাম্বেল যত সুন্দর থাকবে ভিডিওটি রিচ বা ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি থাকবে। একটি ভিডিওর ক্লিক করার আগে ইউজারদের আগ্রহ কাজ টাই থাম্বেল করে।
কাস্টম থাম্বেল হল : যে থাম্বেল নিজের মতো এডিট করে ভিডিওতে ইউস করা যায় তাকে কাস্টম থাম্বেল বলে এবং কাস্টম থাম্বেল ইউস করলে আপনার ভিডিও টি কি রিলেটেড সেটা জেনে শুনে ভিউয়াসরা ক্লিক করবে। আর যদি আপনি ফেরিফাই না করেন তবে কাস্টম থাম্বেল ছাড়া মানে ভিডিও থেকে কোন একটি ছবি নিয়ে থাম্বেল দিতে হবে।
২ . বড় ভিডিও আপলোড
আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাই করেন তাহলে আপনার চ্যানেলে আপনার ১৫ মিনিটের এর বেশি বড় ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আর ফেরিফাই না করলে আপনি এই সুবিধাটি পাবেন না যার ফলে আপনাকে ১৫ মিনিটের চেয়ে কম মিনিটের ভিডিও আপলোড দিতে হবে।
আরও পড়ুন : কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করবেন? ( Earn Money From Facebook ) Bd Movie Downloads – জানতে হলে এই আর্টিকেল টি পড়ুন। }
৩ . লাইভ স্ট্রিম I Live Stream
আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ভেরিফাই করেন তাহলে আপনার চ্যানেলে আপনি লাইভে স্ট্রিম করতে পারবেন। যদি ফেরিফাই না করেন তাহলে এই সুবিধা টাও পাবেন না।
৪ . কন্টেন্ট আইডি আপিল
কখন কথা হল : কন্টেন্ট আইডি আপিল কী?
কন্টেন্ট আইডি হল : আপনার চ্যানেলে আপনি ভিডিও আপলোড করছেন বা কন্টেন্ট আপলোড করছেন। এখন কেউ একজন আপনার ভিডিও ডাউনলোড করে তার চ্যানেলে আপলোড করলো এবং আপনার ভিডিওটিকে মনিটাইজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে। তবে আপনার চ্যানেল টি যদি ফেরিফাই করা থাকে তাহলে আপনি ইউটিউবের কাছে ক্লাইম করে বা আপিল করে বলতে পারবেন এটা আপনার ভিডিও বা আপনার কন্টেন্ট তখন ইউটিউব রিভিউ করে তার চ্যানেল থেকে আপনার ভিডিও রিমুভ করে দিবে।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করবেন
প্রথমে আপনার চ্যানেলটি ফেরিফাই করতে হলে আপনাকে যে কোন একটি ব্রাউজারে যেতে হবে। তারপর সে ব্রাউজারের ইউটিউবে আপনার চ্যানেল টি লগইন দিবেন। এরপর ইউটিউব ক্রিয়েটর স্টুডিও তে অপেন করবেন। না পেলে আমার দেয়া লিংকে ক্লিক করে ডুকবেন। ডুকে গেলে আপনার ব্রাউজারটি ডেক্সটপ মুডে অন করুন। এখন আপনাকে সেটিংসে যেতে হবে। সেটিং এ গেলে Channel নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ডান পাশের ৩ নং অপশনে Feature Eligibility নামক একটি অপশন পাবেন সেটিতে ক্লিক করবেন।
Feature Eligibility তে ক্লিক করার পর নিচের ২ নং অপশনে Intermediate Feature এ ক্লিক করবেন। Intermediate Feature এর ডান পাশে Eligible অ্যারো চিন্হ তে ক্লিক করবেন। তারপর নিচের দিকে এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন।
নিচে নামলে এরকম একটি ইন্টারফেস সহ VERIFY PHONE NUMBER অপশন টিতে ক্লিক করবেন।
ক্লিক করার পর এরকম একটি ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। তারপর Select your country এর জায়গায় আপনার দেশের নাম দিবেন। বাংলাদেশে থাকলে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিবেন। তারপর What is your phone number? জায়গায় আপনি যে ফোন নাম্বার দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ফেরিফাই করতে চাচ্ছেন সেই নাম্বারটি দিবেন। country এবং number দেয়া হয়ে গেলে GET CODE এ ক্লিক করবেন।
যে নাম্বার টি আপনি ওখানে বসিয়েছেন সেটাতে মেসেজের মাধ্যমে একটি কোড যাবে সে কোডটি এখানে দিবেন। তারপর SUBMIT এ ক্লিক করবেন।
কোডটি দেয়ার পরে আপনার সামনে এমন একটি ইন্টারফেস আসবে। তার মানে আপনার চ্যানেল টি ভেরিফিকেশন হয়ে গেছে। এখানে লেখা থাকবে ফোন নাম্বার ভেরিফাইড অর্থাৎ আপনার চ্যানেল টি ভেরিফাই কমপ্লিট হয়ে গেছে।
তো ভিউয়াস আজকে আমি আপনাদের – ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার নিয়ম দেখিয়ে দিয়েছি এবং এর সুবিধা গুলো তুলে ধরেছি আর সুবিধা গুলো ডিটেইলস আপনাদের সামনে ব্যাখ্যা করেছি।
Post a Comment