এই দিকে আকাশ রেস্টুরেন্টের সামনে এসে
দেখে.........
এই দিকে আকাশ রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দেখে
ইরা বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে৷ তাই ইরার কথা অনুযায়ী আকাশ ইরার
কাছে যায় আর ইরা আকাশের হাতে হাত রাখলে ওরা
রেস্টুরেন্টের ভিতরে ডুকে যায়। এই দিকে ভিতরে
গিয়ে আকাশ দেখে রাজিব ওহ বসে আছে৷ রাজিব
আকাশকে দেখে সালাম দিতে গেলে আকাশ চোঁখের
ইশারায় বসে যেতে বলে। ওদের সবার সামনে নিয়ে
গিয়ে।
ইরা ঃ তোদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। ওহ হচ্ছে
আমার বয়ফ্রেন্ড আকাশ।
আকাশ ওরা হচ্ছে আমার বান্ধুবী আর এই দুজন হচ্ছে
ওদের বয়ফ্রেন্ড। রোজার বয়ফ্রেন্ড হচ্ছে ওনি। আর
নদীর বয়ফ্রেন্ড হচ্ছে এনি। আর তোমরা জেনে রাখ
আমার বয়ফ্রেন্ড হচ্ছে ওহ। ( আকাশকে দেখিয়ে)
এরপর সবাই আকাশের সাথে হেন্ডশিপ করে। আকাশ
ওদের সাথে কথা বলতে থাকে। অন্য দিকে রাজিব
যেখানে সারাক্ষণ পটর পটর করতে থাকে সেখানে
আজকে রাজিব চুপ করে বসে আছে৷
রোজাঃ কি ব্যাপার তুমি চুপ করে বসো আছো কেনো?
রাজিবঃ এমনিতে ভালো লাগছে না।
আকাশঃ আরেহ কোন ব্যাপার না। যা ইচ্ছে বলতে পারো।
রাজিবঃ ঠিক আছে স্যার।
রোজাঃ রাজিব তুমি ওনাকে স্যার কেনো বলছো?
রাজিবঃ আসলে স্যার বলতে বলতে, মুখ ফুঁসকে বেরিয়ে
গেলো।
Bd Movie Downloads, Bangla Love Story
এই দিকে ওয়েটা খাবারে অডার দিয়ে দেয়। অন্য দিকে
রাজিবের অনেক আনইজি লাগছে তাই রাজিব ওয়াশরুমে যায়
আর রাজিবের পিছনে পিছনে আকাশ ওহ আসে।
রাজিবঃ স্যার আপনি কি করে?
আকাশঃ পরে জানতে পারবে। এখন এটা শুনো। কোন রকম
বাড়তি কথা বলতে যাবে না আমার বিষয়ে। এক কথায় তুমি
আমাকে চিনো না আর আমি তোমাকে।
রাজিবঃ তা তো ঠিক কিন্তু পরে যদি ইরা জানতে পারে।
আকাশঃ তখন দেখা যাবে। এখন তুমি চুপ করে থাকলেই
হবে৷
রাজিবঃ ঠিক আছে৷
এই দিকে ওরা বের হয়ে আসে। ওয়েটার খাবার নিয়ে
আসে৷ ওরা খাবার খেতে থাকে৷ রোজা, রাজিবকে খাইয়ে
দেয় আর রাজিব ওহ রোজাকে। ঠিক তেমনি নদি ওহ ওর
বয়ফ্রেন্ডকে খাইয়ে দেয়৷ আর ওর বয়ফ্রেন্ড ওহ
নদীকে খাইয়ে দেয়৷ এখন শুধু আকাশ আর ইরাই বাকি।
রোজাঃ কিরেহ তুই খাইয়ে দিবি না।
ইরাঃ কাকে খাওয়াবো।
রোজাঃ তুই দেখছিস না, আমরা একজন আরোক জনকে কি
করে খাইয়ে দিচ্ছি।
ইরাঃ এখন কি আমাকে ওহ দিতে হবে৷
রোজাঃ হ্যাঁ,হবে।
ইরা কোন উপায় না পেয়ে খাইয়ে দিতে থাকে। আকাশ ওহ
সব কিছু ঠিক রাখার জন্য খাইয়ে দিতে থাকে৷ এভাবে চলতে
থাকে৷ খাবার শেষ হলে ওরা ৬ জন বাহিরে বের হয়। বাহিরে
বের হলে রাজিব রোজাকে জড়িয়ে ধরে আর নদী ওহ
বয়ফ্রেন্ডকে৷
রোজাঃ কিরেহ দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?
ইরাঃ তাহলে কি করবো?
রোজাঃ তোকে কি এটাও বলে দিতে হবে।
ইরাঃ কোন উপায় না পেয়ে জড়িয়ে ধরে আকাশকে,
এতে আকাশের কাছে অনেক ভালোলাগা কাজ করে। ওই
দিনের অনুষ্ঠান শেষ করে আকাশ ওহ বাকি সবাই যে যার
বাড়িতে চলে যায়৷ পরের দিন সকালে ইরা আবার ওহ
ভার্সিটিতে আসে তখন ওর বান্ধবীরা ওহ ওখানে ছিলো।
ওরা কর্থা বলতে থাকে৷ তখন রোজা বলে..
রোজাঃ দোস্ট তোর বয়ফ্রেন্ড এত হেন্ডসাম। যা বলার
বাহিরে,,
ইরাঃ সত্যি, বলছিস?
রোজাঃ হ্যাঁ, রেহ সত্যি বলছি৷ তা আরেকদিন আসতে বল না
তোর বয়ফ্রেন্ডকে।
ইরাঃ কিহ আরেকদিন।
রোজাঃ হ্যাঁ৷ কোন সমস্যা কি।
ইরাঃ সমস্যা কেনো হবে৷ আসলে ওহ অনেক বিজি থাকে
তো তাই।
Bd Movie Downloads, Bangla Love Story
রোজাঃ আরেহ কোন ব্যাপার না তুই ছিন্তা করিছ না একদম। তুই
বললে ঠিকই আসবে৷
ইরাঃ ঠিক আছে।
রোজাঃ তাহলে এখনই আসতে বল।
ইরাঃ এখন কি করে সম্ভব।
রোজাঃ আমি যদি রাজিবকে বলি, তাহলে রাজিব যে কোন
উপায়ে এখানে চলে আসবে।
ইরাঃ ওহ তাই নাকি৷ দেখি আসতে বল।
রোজাঃ ওকে আমি ওকে কল দিচ্ছি ওই তো কল দে,
তোর আকাশকে।
ওরা দুজনই কল দেয়৷ এই দিকে কথা বলে রাজিব আসে
আকাশের কাছে। আকাশ ওহ অফিস থেকে বের হবে
কিন্তু কোন কিছু ভেবে পাচ্ছে না কি করবে।
রাজিবঃ স্যার, আসবো কি?
আকাশঃ আসো, তা কি বলবে৷
রাজিবঃ স্যার, আমাকে কয়েক ঘন্টার জন্য যদি ছুটি দিতেন।
আকাশঃ আচ্ছা যাও৷
রাজিবঃ স্যার৷ কারণ যানতে চাইবেন না।
আকাশঃ আমি জানি তুমি কোথায় যাবে। তাই ওখানে যাও, তবে
একটা কথা
রাজিবঃ কি কথা?
আকাশঃ তোমার গার্লফ্রেন্ডকে বলে দিবে, এরপর
যেনো এরকম বায়না না করে। বুঝতে পারছো নিশ্চয়ই।
রাজিবঃ জি স্যার।
রাজিব বের হয়ে যায়৷ রাজিরের যাওয়ার ২০ মিনিট পর আকাশ ওহ
বের হয়ে যায়৷ রাজিব ওখানে এসে কথা বলতে থাকে৷
আর আকাশ কিছুক্ষণ পর আসে৷ ওরা এভাবে আড্ডা দেওয়া
হয়ে গেলে, আকাশের শিখানো কথা গুলো রাজিব
রোজাকে বলে। রোজা সবটা শুনে কোন কথা বললো
না। কিছুক্ষণ পর ভার্সিটিতে কয়েকটা গাড়ি ডুকতে থাকে৷। গাড়ি
গুলো থেকে কয়েকজন লোক নামে আর ওদের
ভিতর থেকে একটা ছেলে ওহ বের হয় । ছেলেটা
বের হয়ে আকাশের কাছে আসে৷ কেনো না আকাশ
ওহ বাকি ওরা মিলে গাছের নিছে বসে ছিলো। আর গেইট
থেকে গাছ একদম কাছে তাই ওদের কাছে আসে৷
রকিঃ এই তোরা দুজন এই দিকে আয়৷
রাজিবঃ আমাকে বলছেন?
রকিঃ শুধু তোকে একা বলি নি, তোর সাথে যে ছেলেটা
আছে ওকে ওহ এখানে আসতে বল।
রোজাঃ এ হচ্ছে এই ভার্সিটির নেতার ছেলে। সব সময়
ছেলেদের উক্তত্য করে। কোন ছেলে যদি
মেয়েদের সাথে বসে, ওহ ওই ছেলেদের কান ধরে
উঠ বস করায়৷ সাথে মেয়েদের ওহ নানা বাজে কথা বলে।
রাজিবঃ এখন কি হবে স্যার। আপনি থাকেন আমি না হয় যাচ্ছি৷
রকিঃ ওই এত লেট কেনো তাড়াতাড়ি আয় বলছি৷
রাজিবঃ আসতেছি৷
Bd Movie Downloads, Bangla Love Story
ওরা ওখানে যায়৷ রকি রাজিব ও আকাশকে কানে ধরতে বলে।
আকাশ তো কানে ধরবে না তা রাজিব ভালো করে জানে।
রাজিব যখন কানে ধরতে যাবে, আকাশ রাজিবের হাত ধরে
থামিয়ে দেয়৷
রকিঃ তোর এত বড় সাহস, তুই আমার কাজে বাঁধা দিছ৷
যেই আকাশকে মারতে আসবে, উল্টো আকাশ ওদের
মারতে থাকে৷ ওদের সাথে মারামারি করার সময়ে আকাশের
শার্ট ছিঁড়ে যায়৷ আর আকাশের সিক্স ফ্রেক বডি দেখে
ওরা সবাই অনেক অবাক।
ইরাঃ ওয়াও, কি সুন্দর বডি। ইস সত্যি যদি আমার বাস্তবে
বয়ফ্রেন্ড হতো৷
এই দিকে আকাশের মারামারি করা শেষ। অন্য দিকে রকি মার
খেয়ে শুয়ে আছে৷ অন্য দিকে অনেকে ভয়
পেয়ে আছে কেনো না, এখন অনেক কিছু হয়ে
যেতে পারে৷ অন্য দিকে আকাশ আকাশের মতো করে
ওই দিন ওখান থেকে চলে আসে৷ আকাশের সাথে সাথে
বাকি রাও, চলে আসে। ২ দিন পর ইরা অফিসে আসে৷
অফিসে আসলে রাজিব ইরাকে ওর কাজ গুলো বুঝিয়ে
দেয়৷ তার সাথে আকাশকে একটা লেপটব দেয় তার সাথে
ভিবিন্ন রকমের কার্ড ওহ দেয়৷ ইরা কার্ড গুলো নিয়ে
আকাশের কেবিনে আসে৷ আকাশ ভালো করে জানে
ইরা এখন আসবে তাই আকাশ মুখ ভেধে নেয়। যাতে
করে ইরা কোন মতেই আকাশকে চিনতে না পারে।
ইরাঃ Mey, I come in sir.
আকাশঃ Yes. Come in.
ইরাঃ স্যার আমি আপনার নতুন ( পি.এ)
আকাশঃ আচ্ছা এটা হচ্ছে আপনার কেবিন, বুঝতে পারলেন
এখন তাহলে এখানে গিয়ে বসেন৷ আমি যে কাজ গুলো
দিবো তা করবেন।
ইরাঃ ঠিক আছে স্যার।
এই দিকে আকাশ কাজ করতে থাকে৷ আকাশ কাজ করার মাঝে
মুখ থেকে মাস্ক খুলে পেলে। তখন ইরা আকাশের মুখটা
দেখে ফেলে।
ইরাঃ স্যার, আপনি আর তাহলে...
আকাশঃ কিহ?
ইরাঃ স্বরি স্যার।
আকাশঃ স্বরি কেনো?
ইরাঃ বিশ্বাস করুন স্যার, আমি আপনাকে চিনতে পারি নি।
আকাশঃ আমি তো কিছুই বুঝতে পাচ্ছি না।
আকাশ কথা বলতে বলতে হাতে তাকিয়ে দেখে মাস্ক।
এতে করে আকাশ নিজেই অবাক হয়৷
ইরাঃ স্যার, আপনি আমাকে কেনো নিজের পরিচয়টা দিলেন
না তখন?
আকাশঃ দিলে কি করতেন?
ইরাঃ তাহলে আর আপনাকে এভাবে বিরক্ত করতাম না।
আকাশঃ সমস্যা নেই। তাছাড়া ভালোই লাগে?
ইরাঃ কি, ভালো লাগে।
আকাশঃ কিছু না৷ একটা মিটিং আছে৷ ওখানে যেতে হবে৷
ইরাঃ হ্যাঁ, চলুন স্যার।
আকাশ বের হয় আর ইরা ওহ বের হয়৷ ইরা হাঁটতে গিয়ে
পায়ের নিচে শাড়ি পড়ে, কিছুটা খুলে যায় এতে করে ইরা
অনেক লজ্জা পায়৷
ইরাঃ স্বরি স্যার আমি শাড়ি পড়তে জানি না৷ তাই...
আকাশঃ তা এখন কি করবেন।
ইরাঃ তাই তো ভাবছি স্যার।
Bd Movie Downloads, Bangla Love Story
আকাশঃ কিছু মনে না করলে আমি পড়িয়ে দিবো কি।
ইরাঃ আপনি কি করে পারেন।
আকাশঃ আসলে আমার ইচ্ছে ছিলো বিয়ের পর প্রথম
নিজের বউকে শাড়ি পড়িয়ে দিবো৷ কিন্তু তা যে এখন
করতে হবে, তা বুঝতে পারি নি।
এই দিকে ইরা কোন উপায় না পেয়ে আকাশের হাতে
শাড়িটা পড়ে। আকাশের প্রতিটা স্পর্শ ইরাকে পাগলের
মতো করে তুলে। ইরা তো কয়েকবার আকাশকে
জড়িয়ে ওহ ধরেছিলো।
আকাশঃ.................
পর্ব ২ ঃ অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০২
পর্ব 1 ঃ অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্ব ১ । Bangla Love Story
পর্ব 4 ঃ অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৪
পর্ব 5 ঃ অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৫
পর্ব 6 ঃ অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৬
লেখকঃ #farvez_hosen_akash
Post a Comment