আজ আমরা জানবো : ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার নিয়ম, কত ফলোয়ার এবং কত ওয়াজ টাইম হলে পেজ মনিটাইজ পাওয়া যায়, ফেসবুক পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি গুলো কী কী, ফেসবুক পার্টনার কন্টেট পলিসি কী কী, অরিজিনাল কন্টেট মানে কি, ফেসবুক মনিটাইজ পেতে কী কী করবেন না, ফেসবুকের কমিউনিটি বাহিরে কী কী আছে .

আমরা সবাই চেষ্টা করি পেজ থেকে মনিটাইজ করার বা পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার। কিন্তু ফেসবুকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হয়, শুধুমাত্র ফলোয়ার বা ভিউ আনলে কি হয়, নাকি আরো কিছু কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো রুলস না মানলে মনিটাইজেশন বাতিল করে দেওয়া হয়, আর আমরা তাদের দলে নাম লেখাই। কাজেই যদি আপনার মনিটাইজ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল টি ৫ মিনিট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

এই ছোট আর্টিকেলে একদম সুন্দরভাবে এক্সপ্লেইন করে দেবো, সমস্ত রুলস এন্ড রেগুলেশন গুলো। তাই পুরো আর্টিকেল টি মন দিয়ে পড়ুন।

ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার নিয়ম

 ফলোয়ার

প্রধান ক্রাইটেরিয়া বা ডিমান্ড পেশ করছে তা হল : ১০ হাজার ফলোয়ার আনতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে যেমন আগে ছিল এবং ৬০ দিনের মধ্যে ৬ লক্ষ মিনিটের ওয়াজ টাইম আনতে হবে। যে ভিডিওগুলো আপনি আপলোড করবেন স্পেশালি ভিডিওগুলো তিন মিনিটের উপরে হওয়া চাই কারণ তিন মিনিটের থেকে ছোট ভিডিও গুলো অ্যাড রান করানো যায় না।

যাইহোক টোটাল আপনার ভিডিও মানুষ কত জন মিলে, কতবার দেখেছে টোটাল কাউন্ট করে ৬ লক্ষ মিনিটের ওয়াজ টাইম আপনাকে দিতে হবে ফেসবুকে। এই দুটো যদি আপনি করতে পারেন ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬ লক্ষ মিনিটের ওয়াজ টাইম তবে গিয়ে আপনার ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল হবে ফেসবুকে পেজ মনিটাইজ জন্য।

 পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি

ফেসবুকে অনেক পেজ আছে যারা ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে ফেলেছে, কিন্তু তাদের পেজ এখনো কেনো মনিটাইজ হচ্ছে না? কেন তারা কি চেষ্টা করছে না বা তাদের টাকার প্রতি কোন ইন্টারেস্ট নেই? আসলে এমন কোন ব্যাপার নয়, ফেসবুকের একটা ব্যাপার হল পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি । এটা কিন্তু একটা মারাত্মক জিনিস। এইটা ফুলফিল করতে পেরেছে এমন খুব কম মানুষই আছে।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২২ – জানতে আপনি এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন 

যারা অনেক ফেয়ারলি কাজ করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ করে এবং ফেসবুকের রুলস এর ব্যাপারে সঠিকভাবে জানে। একমাএ তারাই ফেসবুক পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি ভায়োলেট না করে গ্রিন টিক করতে পারে। আমার এক বড় ভাইয়ের কথাই বলি, তার নাম : ফাহিম আহমেদ।
সে ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৬ লক্ষ মিনিটের ওয়াজ টাইম ফুল ফিল করেছে যেটা কিন্তু ছোটখাট ব্যাপার নয়। ফেসবুকের ভিডিওতে ওয়াজ টাইম এতো কম সময়ের মধ্যে আনা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। সে খুব পরিস্কার ভাবে কাজ করছে কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সে ফেসবুক পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি টা ভায়োলেট হয়েছে। কিন্তু তারপর আমি যখন আমি তার পেজ চেক করে দেখলাম, সে দেশের বা বিদেশের ভিডিও ডিসক্রিপশন এর টাইটেল নানা রকমভাবে ইউটিউব ভিডিওর লিংক দিয়ে রেখেছে এবং অন্যান্য ভিডিওকে প্রমোট করেছে।

তো এইখানেই আসল রহস্য লুকিয়ে আছে, আপনি ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলে অরিজিনাল কন্টেট আপনাকে আপলোড করতে হবে। এটা ভালো করে বুঝে নিন।


অরিজিনাল কন্টেট মানে কি?

অনেকে বলে যে, আমি তো আমার ভিডিও বানাচ্ছি এটা তো অরিজিনাল ভিডিও। কিন্তু সেটাই শুধু নয়। আপনাকে প্লাটফর্মে ভিডিওগুলো কে এমন ভাবে আপলোড করতে হবে যেন তার টাইটেলে, ডেসক্রিপশনে, কোথাও আপনি অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম কে প্রমোট না করেন। এরকম উদ্দেশ্য নিয়ে যেন আপনি ফেসবুকে কাজ না করেন যে, আপনি ইউটিউব কে প্রমোট করার জন্য বা ইন্সটাগ্রামকে প্রমোট করার জন্য বা টুইটার হ্যান্ডেল দিচ্ছেন এগুলো কিন্তু ফেসবুকের পার্টনার পলিসি এগেনস্টে।

ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার নিয়ম

 

পার্টনার কন্টেট পলিসি

আপনি এমন ভিডিও তৈরি করছেন তো, যে ভিডিও প্রতি অ্যাডভার টাইজার রা ইন্টারেস্ট হবে? তাদের অ্যাড গুলো ভিডিওতে দেখানোর জন্য?

আপনি টাকা কামাবেন তখনই, যখন ফেসবুক বিভিন্ন কোম্পানি এবং অ্যাডভার টাইজার এজেন্সিকে রাজি করাতে পারবে যে, হ্যা এইটা একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম এখানে ক্রিয়েটররা সঠিকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে কাজ করছে। তো আপনারা অ্যাড গুলো এখানে টাকা দিয়ে দেখাতে পারেন।

যদি আমরা ফেসবুকে সঠিক ধরনের ভিডিও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভিডিও প্রোভাইড করতে না পারি এবং যা তা ভাবে কাজ করি তাহলে তাহলে অ্যাডভার টাইজার রা আমাদের পেজের প্রতি ইন্টাররেস্ট হবে না। বলবে এই ধরনের ভিডিওতে আমরা অ্যাড দেখাতে চাইনা। সেই কারণেই পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি এবং পার্টনার কন্টেট পলিসি আমাদের মেনে চলতে হবে।

ফেসবুক মনিটাইজ পেতে কী কী করবেন না
কখনো কোন রকম আজেবাজে হ্যাশট্যাগ ইউজ করবেন না
কোনো রকম অন্যান্য প্লাটফর্ম কে প্রমোট করার চেষ্টা করবেন না এবং ভিডিওতে একদম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ করবেন।
ইউটিউব এর প্রমোট করবেন না, উদাহারণ সরুপ : অনেকে ভিডিওতে বলেন, সাবস্ক্রাইব করুন, বেল নোটিফিকেশন অন করুন, যদি আপনি ইউটিউবের ভিডিও আপলোড দিতে চান তাহলে সেটাকে কেটে বাদ দিয়ে দেবেন।

 

ফেসবুকের কমিউনিটি বাহিরে কী কী আছে?

  • নানারকম সেক্সুয়াল কন্টেন্টস
  • নানা রকম গুজব
  • পলিটিক্যাল ডিবেট
  • – এই সমস্ত কিছু কিন্তু নানা রকম ভাবে ফেসবুক ভায়োলেশন হিসেবে দেখে। তা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মানছে না এমন অনেক ভিডিও আছে সেই ধরনের ভিডিও বানাবো কিন্তু আপনার পেজ মনিটাইজ করা হবে না।

এই নিয়মগুলো মাথায় রাখবেন যেগুলো আমি ছোট করে বললাম। পরে আপনি যদি রিকোয়েস্ট করেন কমেন্টে রিকোয়েস্ট করুন আমি এগুলোর বড় বড় ভিডিও বানাবো। ফেসবুকের এই পলিসি এবং কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে।

সব শেষে বলি ক্লিন কাজ করুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ করুন, ফেসবুকে যদি মনিটাইজ করাতে হয়। ইউটিউব চ্যানেল দেখতে পাবেন যারা মনে করে বসে

ইউটিউবে অনেক ছোটখাটো চ্যানেল আছে যারা মনিটাইজ করে বসে আছে এমনকি কারো ৩-৪ টা চ্যানেল মনিটাইজ করা আছে এমন মানুষও আছে। কিন্তু ফেসবুকে পেজ মনিটাইজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। কারণ এটা কিন্তু সহজ ব্যাপার নয়। কাজেই আপনার যদি স্বপ্ন থাকে পেজ মনিটাইজ করার আমি আপনাকে দুটো এডভান্স দিয়ে দিতে পারি :

 ১ . আপনি ফেসবুক পেজ এর থেকে বেশি এক্সপেক্ট করবেন না।

ফেসবুক রুলস গুলো এতটাই জটিলতা যে মনিটাইজেশন পলিসি যখন তখন ভায়োলেশন হয়ে যেতে পারে। যার জন্য পেজে আর্নিং বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই মনিটাইজেশন হওয়ার পরেও শান্তি নেই। আপনি ফেসবুকের থেকে জিরো এক্সপেক্টেশন রেখে কোন আশা না রেখে আপনি ফেসবুকে কাজ করুন।

 ২ . ইউটিউব এর রুলস গুলো ভালোভাবে বুঝে নিন।

কারণ ইউটিউবে ঐ ভিডিও গুলো পোস্ট করতে থাকুন। ইউটিউব প্লাটফর্ম ফেসবুকের থেকে অনেক সেফ এবং সহজ। সেখান থেকেও আপনি আনিং করতে পারবেন একই ভিডিও দিয়ে যদি আপনি ভিডিও গুলো আগে ফেসবুকের জন্য তৈরি করেন পরে সেটা ইউটিউবে আপলোড করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post